বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে নাবালক সহ ধৃত তিন

26th May 2021 11:19 pm বর্ধমান
বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে নাবালক সহ ধৃত তিন


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :  জমির উপর দিয়ে জলের পাইপ লাইন যাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল  বিবাদের । তার জেরে শেখ আবদুর রহমান (৬২) নামে এক বৃদ্ধকে  পিটিয়ে মারার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন ৩ ব্যক্তি। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার নাবালক ।পুলিশ জানিয়েছে , প্রাপ্ত বয়স্ক দুই ধৃত হলেন নূর হক মণ্ডল ও সফিক মণ্ডল।  সম্পের্ক তারা  দাদা-ভাই। পূর্ব বর্ধমানের  মেমারি থানার গোবিন্দপুরে ধৃতদের বাড়ি। মেমারি থানার পুলিশ মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।ধৃতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তিয় দাবি করেছেন মৃতর পরিজনরা ।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি থানার তালপাতা গ্রামে বাড়ি  মনসুরা বিবির। তাঁর বাপের বাড়ি মেমারির গোবিন্দপুরে ।  সেখানে জমির উপর দিয়ে জলের পাইপ লাইন যাওয়া নিয়ে তাঁর ভাইদের সঙ্গে এলাকার  নূর ও সফিকের পরিবারের বিরোধ বাধে।এই কথা জানার পর গত সোমবার 
মনসুরা বিবি তাঁর বাপের বাড়িতে যান । ওইদিন মনসুরার ভাইয়েরা জমির উপর দিয়ে পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ায় বাধা দেন। তা নিয়ে  দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। অভিযোগ এরপর  ঘন্টাখানেক বাদে  নূর ও সফিক সহ কয়েকজন ছুরি, কাটারি প্রভৃতি নিয়ে মনসুরার ভাইয়েদের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা মনসুরার ভাই ও ভাইপোদের খুনের হুমকি দিয়ে যায় । এরপর একই দিনে বিকাল ৪টে নাগাদ গোবিন্দপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ায় মনসুরা তাঁর ভাই ও দুই বোনকে নিয়ে যান। সেখানে নূর, সফিক সহ কয়েকজন তাঁদের তাড়া করে। মনসুরাকে ধরে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাঁকে মার খেতে দেখে বাঁচাতে যান  তাঁর ভাই শেখ আবদুর রহমান । নূর, সফিক ও তাঁদের সঙ্গীরা  তাঁকেও প্রচণ্ড মারধর করে  । দু’জনকে উদ্ধার করে  মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ষেখানে আবদুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে  বর্ধমানের বামবটতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।মঙ্গলবার রাতে সেখানেই আবদুর  মারা যান।  এই ঘটনার কথা জানিয়ে মনসুরা  মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তার ভিত্তিতে  পিটিয়ে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে মেমারি থানার পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে । বুধবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । পিটিয়ে মারায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এবং বাকি অভিযুক্তদের হদিশ পেতে নূর ও সফিককে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার সমীর ঘোষ। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম নূর ও সফিকের   ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ধৃত নাবালককে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে পেশ করা হলে  তাকে আড়িয়াদহ ধ্রুবাশ্রমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন  জুভেনাইল বোর্ড।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।